জান্নাতুল মুআল্লা মক্কা শরীফের প্রাচীনতম কবরস্থান। হারাম থেকে এক মাইলের দূরত্বে মক্কার উর্ধ্বভূমিতে তার অবস্থান।
জান্নাতুল মুআল্লার পরিচয়ের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, এখানে শায়িত আছেন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয়তমা স্ত্রী, আমাদের আম্মা হযরত খাদীজাতুল কোবরা (রা); বিবাহকাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সুখে-দুঃখে, বিপদে-দুর্যোগে যিনি নবীজীর পাশে ছিলেন। জীবন ও সম্পদ, সর্বস্ব যিনি আল্লাহর নবীর কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। পরবর্তীকালে আল্লাহর নবী যাঁর সম্পর্কে বলেছেন, যখন মানুষ আমাকে অবিশ্বাস করেছে তখন খাদীজা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। যখন লোকেরা আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে তখন খাদীজা আমাকে গ্রহণ করেছেন। যখন লোকেরা আমাকে কষ্ট দিয়েছে তখন তিনি আমাকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
আল্লাহর নবীর পবিত্র যবানে যখন তিনি নবুয়তপ্রাপ্তির কথা শুনলেন তখন একেবারে নির্দ্বিধায় পরম নির্ভরতায় তিনি তা বিশ্বাস করলেন এবং কৃতার্থ কণ্ঠে মধুর মমতায় এই বলে আল্লাহর নবীকে সান্ত্বনা দিলেন, ‘আপনার ভয় কি! আপনি তো দুর্বলকে সাহায্য করেন, নিঃস্ব অসহায়কে আশ্রয় দান করেন। বিপদে-দুর্যোগে সবার পাশে দাঁড়ান সুতরাং আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন এবং আশ্রয় দান করবেন। কিছুতেই আল্লাহ আপনাকে পরিত্যাগ করবেন না।’
প্রিয়তমা জীবনসঙ্গিনীর মুখে এই যে সুমধুর সান্ত্বনা, তা কেমন প্রশান্তি দান করেছিলো আমাদের পেয়ারা নবীকে!
আবির্ভাবের চরম দুর্যোগকালে ইসলাম একজন নারীর কাছেই পেয়েছিলো এমন মমতা! এমন সান্ত্বনা! সেই নারীর প্রতি কি ইসলাম কৃতজ্ঞ না হয়ে পারে! ইসলামের চেয়ে আর বেশী কে চাইতে পারে সেই নারীর কল্যাণ?!
আজ কার ভুলে, কাদের মূর্খতায় ইসলামের প্রতি নারীসমাজের এমন ভীতি-ভয় ও দ্বিধা-সংশয়?!